অনলের প্রণয় বর্ষণে
মাহাদিব উঠে দাঁড়ায়। হাত ঘড়িতে সময় দেখতে দেখতে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, জেলাসি কম করো। দেখা হয়েছে?
উঁহু। পাগলামি কোরো না, খেয়া। একমাস যোগাযোগবিহীন থাকলে এসব ভূত পালিয়ে যাবে মাথা থেকে তোমার।
আর যদি ভূত না পালায় একমাস পর, আপনার ঘাড় আমি নিজে মটকিয়ে ছাড়ব।
মাহাদিব জবাব দিতে তৎপর হতেই তার ফোন ভাইব্রেট হয়। জানান দেয় আর দাঁড়ানোর সময় নেই। এখন যেতে হবে।
খেয়া কাতর চোখে উঠে দাঁড়ায় তার সামনে। কয়দিনেরই-বা পরিচয়। এত অল্প সময়ে তার মতো করে বাঁধনহারা প্রেমে পড়ে কেউ? এই তো আজ সে বিদায়ী মুহূর্তের কষ্ট অনুধাবন করতে পারছে। সেই স্টেশনে দাঁড়ানো কপোত-কপোতীর মতো। তবে কি প্রিয়জনকে বিদায় দেওয়া মানেই কষ্ট?
মাহাদিব চলে যাওয়ার মুহূর্তে থমকে দাঁড়ায়। এক পূর্ণিমাবিহীন সায়াহ্নকালে তার ব্যাকুল চিত্তের রমণীর অতি নিকটে এসে দাঁড়ায় সে। মুখ হতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য মাস্ক খুলে ফেলে। ললাটে মাখা চুলগুলো আলতো হাতে সরিয়ে গাঢ় চুম্বন এঁকে দেয় তাতে।
এত কষ্ট করে এসেছ, খালি হাতে ফিরিয়ে দিলাম না, নাও। এর এফেক্ট যদি একমাস থাকে তাহলে তুমি জয়ী হবে আর আমি পরাজিত হব। টেক কেয়ার।
- নাম : অনলের প্রণয় বর্ষণে
- লেখক: মাহরিণ তৃণ
- প্রকাশনী: : নবকথন
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2025





