
ক্ষমতার তিপ্পান্ন বছর
এইতো সেদিনের কথা, এরই মাঝে পেরিয়ে গেছে ৭৯ বছর। ২৫ বছর স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। অতঃপর স্বাধীনতা যুদ্ধ। স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা সবটাই ছিল বাঙালীর গৌরবের ইতিহাস। এরই মধ্যে ৫৩ বছর কেটে গেছে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের। বুক ভরা আশা, কত স্বপ্ন। বাঙালী জাতি স্বাধীন হবে। এখনো মনে পড়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের দিনগুলো। সেদিনের পদ্মা-মেঘনা-যমুনা আজও বয়ে চলেছে। কিন্তু তফাত অনেক। সেদিন পদ্মা-মেঘনা-যমুনার পাঁকে পাঁকে ভাটিয়ালী সুরে গাইতো সাম্যের গান, ন্যায়ের আকাঙ্খা, কথা বলার স্বাধীনতা। কুড়ি টাকার শাড়ী পাঁচ টাকায় কেনার আশ্বাস। কুড়ি টাকা মন দরের চাল চার-পাঁচ টাকায় পাওয়া যাবে। পদ্মার ইলিশ আট আনা থেকে নেমে আসবে চার আনায়। আরো কত কথা--কত স্বপ্ন আমাদের স্বাধীনতার শহীদের প্রতি ফোঁটা রক্ত কনিকায় লুকিয়ে আছে। সবই আজ অতীত। স্বপ্ন যেন হারিয়ে গেছে।
এখানে এখন কৃষ্ণচূড়া আর শিমুলের লাল টকটকে রঙের হাতছানি দেয় না স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে। রজনীগন্ধা, দোলনচাঁপা আর হাসনাহেনার সৌরভের মৌ মৌ গন্ধে আত্মহারা হবার বাসনা হারিয়ে ফেলেছে বাঙালি। ৫৩ বছরের পুরো বাঙালি জাতি সাড়ে সাত কোটি থেকে আঠার কোটি হয়েছে। সেদিনের হাসি-খুসি বাঙালি প্রাণ খুলে হাসতে ভুলে গেছে। ৫৩ বছরের অপশাসন-দুঃশাসন-কুশাসন সামরিক শাসন স্বৈরাচারী সরকার কর্তৃত্ববাদী সরকার শুধুই পেলাম স্বাধীন বাংলাদেশ। কত রাজা-বাদশাহ এলেন গেলেন। মুখে কত সুন্দর সুন্দর বুলি তোতা পাখির মতো বুলি আউড়ে গেছে আমাদেরকে সুখী রাখবে বলে। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। শুধুই মিথ্যা অসুন্দর অসত্য আমাদের ঘিরে ধরেছে অক্টোপাসের মতো। লুটেরার দল আঠারো কোটি মানুষের রক্ত চুষে কঙ্কালসার করে তুলেছে। বাঙালি স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে। বাঙালি কোন দিন যদি ভরসার জায়গাটুকু খুঁজে পায়; সেদিন যেন তাঁদের ৫৩ বছরের স্বাধীনতা পরবতীর্ তৈমুর লং, চেঙ্গিস খাঁনদের তাণ্ডবতার ইতিহাসকে খুঁজে নিতে পারে; তারই ক্ষুদ্র প্রয়াস এই গ্রন্থ ‘ক্ষমতার তিপ্পান্ন বছর’।
- নাম : ক্ষমতার তিপ্পান্ন বছর
- লেখক: খালিদ হোসেন
- প্রকাশনী: : ঝিঙেফুল
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 544
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789849896968
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2024