বাংলাদেশের নারীযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর অবদান
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর গণহারে বাঙালি নারী-ধর্ষণ ছিল মূলত পূর্বপরিকল্পিত। তাদের পরিকল্পনা ছিল বাঙালি জাতিসত্তাকে ধ্বংস না করে সেখানে নতুন এক সংকর জাতির সৃষ্টি করা। ভারতি সরকারের সহায়তায় মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর যুদ্ধজয়ের ফলে পাকিস্তানের পরিকল্পনা পুরােপুরি ব্যর্থ হলেও পরিসংখ্যান অনুযায়ী যত সংখ্যক নারী ধর্ষিত হয়েছিলেন তা যুদ্ধোত্তর সমাজে ব্যাপক বিপর্য় বয়ে এনেছিল।
নির্যাতনের কারণে স্বামী ও পরিবার কর্তৃক লাঞ্ছিত বা পরিত্যক্ত হয়েছিলেন। ৯০ শতাংশ নারী। দেশের অভ্যন্তর ছাড়াও পশ্চিম পাকিস্তানে যেসব নারী আটকে পড়েছিলেনन তাঁদের অবস্থা ছিল আরও দুর্বিষহ। নির্যাতিত নারী ছাড়াও অনেক নারী, কিশােরী ও শিশু ছিল স্বজনহারা ও আশ্রয়হীন। ভারতের শরণার্থী শিবির থেকে ফিরে যুদ্ধ-পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে অধিকাংশ পরিবার পৈতৃক ভিটার মাটিটুকু ছাড়া কিছুই পায়নি।
এছাড়াও যুদ্ধ শেষে নির্যাতিত নারীদের নতুন লড়াই শুরু হয় যুদ্ধজাতকদের নিয়ে। এই সব ভাগ্যাহত নারীদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুবিধ উপায়ে স্বাভাবিক জনস্রোতে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর প্রশাসন নারীদের যথাযথ জীবন-পরিক্রমাকে ফিরিয়ে আনার জন্য যে যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তা এই গবেষণাকর্মে অনুসন্ধান করা হয়েছে।
- নাম : বাংলাদেশের নারীযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর অবদান
- লেখক: ফাল্গুনী তানিয়া
- প্রকাশনী: : পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 232
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789846344981
- বান্ডিং : paperback
- প্রথম প্রকাশ: 2022