
বাবা তোমাকে ভালোবাসি
মহাজন হাতেম আলীর ঘরে তিন-তিনজন স্ত্রী। তবু তার কামনার চোখ পড়ে কুলির কিশোরী মেয়ে কমলার উপর। একমাত্র কন্যাকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকার চেষ্টারত কালুকে চাপ প্রয়োগ করে মেয়েকে মহাজনের চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে কনের সাজে সাজাতে। মহাজনের যোগ্য সন্তান হারেছের চোখ পড়ে প্রস্ফুটিত গোলাপ কমলার উপর। কমলার স্কুলে যাওয়ার পথে তার প্রেম নিবেদনের নামে লালসার চোখ অনুসরণ করতে থাকে।
বাবার আড়তের কুলি কালুর উপর নির্দেশ জারি করে মেয়ের সাথে তার বিয়ের ব্যবস্থা করতে। বাপ-ছেলে একই সাথে কালুর একমাত্র বেঁচে থাকার অবলম্বন মেয়েকে বিয়ে করতে উঠেপড়ে লাগে। অসহায় কালু বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মানসিকভাবে। মেয়ের কাছে দুজনের একজনকে বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া ভিন্ন পথ নেই। কিন্তু অন্য ধাতুতে গড়া কমলা পিতার পর্যুদস্ত চেহারা দেখে ফুঁসে ওঠে।
রুখে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা করে পিতার কাছে। কমলা কি পারবে দুটি মূর্তিমান শয়তানের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে? পারবে কি নেতিয়ে পড়া পিতার মনে সাহস সঞ্চার করতে? সমাজের অসংগতিপূর্ণ ঘটনার উত্তর পেতে হলে পড়তে হবে-“বাবা, তোমাকে ভালোবাসি” কাহিনিটি।