সাক্ষী ছিল পক্ষী সকল
একবিংশ শতাব্দীতে রাস্তায় পড়ে থাকা একজন ছিন্নমূল মানুষের শরীরে কেন স্নাইপার রাইফেলের গুলি পাওয়া যাবে, যা শুধু এলিট পাকিস্তানী বাহিনী একাত্তরে ব্যবহার করত? কেন একজন মানুষ রোগীর কাছে গেলে মৃত্যুর গন্ধ পান, যার মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত হন মানুষটি বাঁচবে না মারা যাবে?
কোত্থেকে লেখকের সামনে ভোজবাজির মতো একটি প্রাচীন দুর্গ উদয় হয়? সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া লম্বা কোট পরা লোকটি কে, সাথে থাকা মহিলা কি তার স্ত্রী? পরমুহূর্তেই দুর্গ, মানুষ সবাই উধাও হয়ে কোথায় যায়? দুর্গম পাহাড়ের ঢালে এক কিশোরী গৃহবধূ অধ্যাপক সুবিমল রায়ের খাওয়া তদারকি করছে আর অধ্যাপকের চেহারায় নিজের বাবার আদল আবিষ্কার করে লুকিয়ে চোখ মুছছে। সে কি জানে মাঝরাতে কী ঘটবে? ব্যাবিলন নদীর তীরে কারা গান গায় হারিয়ে যাওয়া মাতৃভূমির জন্য?
পাকিস্তানী কর্নেলের মুখে হাফিজের কবিতা কি মানায়?
মেয়েটিকে কেন হৃদয় নিঃসঙ্গ চিল বলা হচ্ছে? সে কি আসলে একা? আকাশলীনাই-বা কে, তার উৎস কোথায়? হৃদয়ে? নাকি তার কোনো উৎসই নেই?
এ বইয়ে প্রশ্নগুলো আছে, আছে কিছু উত্তরও। কিছু প্রশ্ন তাড়া করবে অনেক দিন।
মুক্তিযুদ্ধ থেকে বিটলস, কলেরা-আক্রান্তদের বিতাড়ন, যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ, চিকিৎসাবিজ্ঞান আর মানুষের মহত্ত্ব, ভালোবাসা, হিংস্রতা সবকিছু বইটিকে একটা সমগ্রতা দিয়েছে। গল্পগুলোতে উত্তেজনা ও বিস্ময়ের দ্যোতনা আছে, আছে মর্মন্তুদ স্মৃতি, গভীর আবেগ আর বেদনার বিহ্বলতা।