মুক্তিযোদ্ধা জিয়া
১৯৭০ সালের নির্বাচনে পূর্ববাংলা তথা আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী হলেও পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান পূর্ববাংলার নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরে অসম্মত ছিলেন। সেই প্রেক্ষাপটে বাঙালিদের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধের কোনো বিকল্প ছিল না৷ সম্মুখে অগ্রসর হয়েছিল ছাত্র-জনতা। কিন্তু শেখ মুজিব ও আওয়ামী নেতৃবৃন্দ রক্তপাতের সংঘাত এড়িয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের অধীনেই ক্ষমতা লাভ করতে চেয়েছিল। কালক্রমে ছাত্র-জনতা বাঙালি নিধনে পাক সামরিক সরকার ২৫ মার্চ কালরাতে নির্বিচারে নিরীহ বাঙালিদের ওপর গণহত্যা সংঘটিত করে। পাক সামরিকের কাছে শেখ মুজিব নিষ্প্রাণ আত্মসমর্পণ করেছিলেন। জাতি সেই মুহূর্তে হয়ে পড়ে নেতৃত্বহীন দিশেহারা। সেই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতিকে অতল গহ্বর থেকে তুলে আনতে আবির্ভূত হন মহান আলোর দিশারি মেজর জিয়াউর রহমান। তিনি ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বাঙালির প্রাণে মুক্তির আকাঙ্ক্ষার সঞ্চারণ ঘটান। অতঃপর জেড ফোর্সের কর্তৃত্ব নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে বীর-উত্তম উপাধিতে সম্মানিত হন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দেশীয় কিছু বিপথগামীর হাতে মেজর জিয়াউর রহমান শহিদ হন। বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে মেজর জিয়াউর রহমান চির অম্লান রয়ে যাবেন যতদিন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলাদেশের মানচিত্র অক্ষুণ্ণ ও সম্মানিত থাকবে।
- নাম : মুক্তিযোদ্ধা জিয়া
- লেখক: কাউসার ইকবাল
- প্রকাশনী: : এশিয়া পাবলিকেশন্স
- ভাষা : bangla
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 112
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2024