
আমার দুঃখভারাক্রান্ত বেশ্যাদের স্মৃতিকথা
১৯৫০-এর দশকের কলম্বিয়ার বার্রানকিয়ার প্রেক্ষাপটে লেখা ১০৯ পৃষ্ঠার আমার দুখঃভারাক্রান্ত বেশ্যাদের স্মৃতিকথা উপন্যাসের আখ্যানকারী ও মূল চরিত্র তাঁর সঙ্গে রাত কাটানো পাঁচশ জনেরও অধিক রমণীর প্রত্যেককে পয়সা দিয়ে ভাড়া করেছেন যদিও, কিন্তু উপন্যাসটি বেশ্যাদের নিয়ে নয়। এর মূলে আছে প্রেম। কিপ্টে লোকটা জীবনের নব্বইতম জন্মদিনে হঠাৎ নিজেকে একটি অন্য রকমের রাজ উপহার দিতে যাওয়া বায়নায় তাঁর বহুদিনের পরিচিত কিন্তু অনেক বছর দেখা-সাক্ষাৎ নেই, এই রকম এক বেশ্যালয়ের সর্দারনির বহু আগে দেওয়া অসংলগ্ন প্রস্তাবের কথা ভেবে তাকে ফোন করে বলে, ‘আমার একটা কুমারী মেয়ে দরকার এবং সেটা আজ রাতেই।’
ব্যস! সবকিছু পাল্টে গেল। যে বয়সে বেশির ভাগ মানুষ আর দুনিয়ার বেঁচে থাকে না, সেই বয়সে তাঁর জীবন এক নতুন মোড় নেয়। প্রেম। আমার বয়স নব্বই পূর্ণ হওয়ার দিন ইচ্ছে হলো, উঠতি বয়স্কা কোনো কুমারীকে সারা রাত ধরে পাগলের মতো ভালোবাসি। রোসা কাবার্কাসের কথা ভাবলাম। রোসার মালিকানায় ছিল এক পতিতালয়। মনে পড়ে, তার ওখানে নতুন কোনো মেয়ে এলেই খাস কাস্টমারদের খবর দিতে ভুলত না সে।
বহুবার ডাকার পরও রোসার ওই লোভনীয় ডেরায় যাইনি, তার কোনো কুপ্রস্তাবেও সাড়া দিইনি কখনো। যদিও সে আমার এ নৈতিকতাকে থোড়াই পাত্তা দিত। ‘সময়ে কোথায় ধুইয়া-মুইছা যাইব এই সব নৈতিকতা’, মুখে এক তাচ্ছিল্যের হাসি নিয়ে এমনটা বলত রোসা।
- নাম : আমার দুঃখভারাক্রান্ত বেশ্যাদের স্মৃতিকথা
- লেখক: গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস
- অনুবাদক: রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী
- প্রকাশনী: : প্রথমা প্রকাশন
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 11
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789848765579
- বান্ডিং : hard cover
- শেষ প্রকাশ : 2017