প্রজেক্ট হাইপার
জ্ঞান ফিরে এলে ইটো দেখল প্রফেসর শিউটন তার বেডের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। উঠে বসার চেষ্টা করে পারল না ইটো। তার চার হাত পা বেডের সাথে বাঁধা। কারণ জানার চেষ্টা করতে গিয়েও ব্যর্থ হলো সে। প্রফেসর শিউটন তার মুখটাও বেঁধে রেখেছেন। ইটো বুঝতে পারল সে প্রফেসর শিউটনের গোপন ষড়যন্ত্রের শিকার। প্রফেসর শিউটন এখন তার শরীরে লাল হাইপার প্রবেশ করাবেন। এই লাল হাইপার তাকে মানুষ থেকে শিম্পাঞ্জিতে রূপান্তর করবে। একই অবস্থা তার সাথে আটকে পরা তার বান্ধবী ইলিরও। ইলির শরীরে এরই মধ্যে প্রফেসর শিউটন লাল হাইপার প্রবেশ করাতে শুরু করেছেন।
তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে ইলি। ইটো স্পষ্ট বুঝতে পারছে ঐরকম যন্ত্রণা তাকেও ভোগ করতে হবে। কিন্তু সে ঐ নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে চায় না। চায় না মানুষ থেকে শিম্পাঞ্জি হতে। তাই সে প্রফেসর শিউটনকে অনুরোধ করে বলতে চেষ্টা করল যেন তার শরীরে লাল হাইপার প্রবেশ করানো না হয়। ততক্ষণে অবশ্য দেরি হয়ে গেছে। লাল হাইপার প্রবেশ করতে শুরু করেছে ইটোর শরীরে। তীব্র ব্যথায় বারবার মুষরে উঠছে ইটো। চোখ দিয়ে গলগল করে পানি বের হয়ে আসছে। তার মনে হচ্ছে তার সমস্ত শরীরে বুঝি কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তারপর একসময় যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারাল সে। কী ঘটেছিল ইটো আর ইলির ভাগ্যে? আর কী হয়েছিল প্রজেক্ট হাইপারের? সত্যি কি প্রজেক্ট হাইপার সাফল্যের মুখ দেখেছিল?
- নাম : প্রজেক্ট হাইপার
- লেখক: মোশতাক আহমেদ
- প্রকাশনী: : অনিন্দ্য প্রকাশ
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 176
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789849836285
- বান্ডিং : hard cover
- প্রথম প্রকাশ: 2024