রাগ : কারণ ও প্রতিকার
ক্রোধ মানবজীবনের এক অনিবার্য বাস্তবতা।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে যেমন ভালোবাসা, দয়া, সাহস ও বিবেক দান করেছেন, তেমনি দিয়েছেন ক্রোধের শক্তি। এই শক্তি নিজে পাপ নয়, আবার অন্ধভাবে প্রশংসনীয়ও নয়। যেখানে প্রয়োজন, সেখানকার ক্রোধ মহৎ; আর অপাত্রে ক্রোধ ধ্বংসাত্মক।
ইমাম গাজালি রহ. ক্রোধের তিন স্তর বলেন
এক. অতিশয় কঠোর। অতিশয় কঠোর হলো, এরপর চিন্তাভাবনাকে নিষ্ক্রিয় রেখে পরিণতির প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
দুই. শিথিল। অর্থাৎ, ক্রোধের স্থলে এবং ক্রোধ সৃষ্টি হওয়ার মতো কথাতেও নিজের মধ্যে ক্রোধ সৃষ্টি না হওয়া। নিঃসন্দেহে এটি একটি দূষণীয় স্বভাব।
তিন. ভারসাম্যপূর্ণ। যা যৌক্তিক ও শরয়ি নিরিখে প্রশংসনীয়। আর তা হলো, রাগের সময় ও রাগের কথাবার্তার ক্ষেত্রে যুক্তি ও শরিয়তের সীমারেখা বজায় রেখে ক্রোধ-ক্ষোভ প্রকাশ করা। এটা প্রশংসনীয় ও কাঙ্ক্ষিত গুণ, যাকে সম্ভ্রমবোধ বলে।
রাসুলুল্লাহ ﷺ ছিলেন ভারসাম্যের সর্বোচ্চ উদাহরণ। তিনি ব্যক্তিগত কারণে রাগ করতেন না; কিন্তু হক অমান্য হলে কারো তোয়াক্কা করতেন না।
অতিরিক্ত ক্রোধ সম্পর্কে তিনি সতর্ক করেছেন ‘ক্রোধ ঈমানকে নষ্ট করে দেয়, যেমন সাবিরের রস মধুকে নষ্ট করে।’ এ কারণেই তিনি একজন সাহাবিকে উপদেশ দিয়ে তিনবার বলে ছিলেন ‘রাগ করো না।’ কেননা, ক্রোধ দমন না করলে জন্ম নেয় হিংসা, বিদ্বেষ, পরনিন্দা, শত্রুতা আত্মার ভয়াবহ রোগ। তাই ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ শুধু চরিত্র নয়, এটি আত্মিক চিকিৎসা।
এই বই শেখাবে কখন ক্রোধ পাপ, কখন তা সম্মান; কখন নীরবতা উত্তম, আর কখন নীরবতা নিজেই অপমান।
আসুন, ক্রোধকে ধ্বংস নয় সততার শক্তি বানাই।
- নাম : রাগ : কারণ ও প্রতিকার
- লেখক: হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ.
- প্রকাশনী: : দারুল আরকাম পাবলিকেশন্স
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 80
- ভাষা : bangla
- বান্ডিং : paperback
- প্রথম প্রকাশ: 2025





