
ইবাদতের নামে প্রচলিত কিছু বিদআত
““বিদ‘আত সম্বন্ধে আকীদা””
বিদআত শরী‘আতের হারাম। বিদ‘আতের শাব্দিক অর্থ নতুন সৃষ্টি । শরীআতের পরিভাষায় বিদআত বলা হয় দ্বীনের মধ্যে কোন নতুন সৃষ্টিকে অর্থাৎ দ্বীনের মধ্যে ইবাদত মনে করে এবং অতিরিক্ত ছওয়াবের আশায় এমন কিছু আকীদা বা আমল সংযোজন ও বৃদ্ধি করা,যা রাসূল (সাঃ) সাহাবী ও তাবেয়ীদের যুগে ছিল না। তবে যেসব নেক কাজের প্রেক্ষাপট সে যুগে হয়নি,পরবর্তীতে নতুন প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হওয়ায় নতুন আঙ্গিকে দ্বীনের কোন কাজ করা হয় সেটা বিদআত নয় যেমন প্রচলিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। আমাদের উপমহাদেশে প্রচলিত কিছু বিদআতের তালিকা পেশ করা হল।
* কতিপয় বিদআত
- কোন বুযুর্গের মাযারে ধুমধামের সাথে মেলা মিলানো।
উরস করা।
- জন্ম বার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা।
- মৃতের কুলখানী করা(অর্থাৎ, চতুর্থ দিনে ঈছালে ছওয়াব করা)।
- মৃতের চেহলাম বা চল্লিশ করা।
- কবরের উপর চাদর দেয়া।
- কবর পাকা করা।
- কবরের উপর গম্বুজ বানানো। মাযারে চাদর, শামিয়ানা, মিঠাই ইত্যাদি নযরানা দেয়া।
- প্রচলিত মিলাদ অনুষ্ঠান ।
- মীলাদ অনুষ্ঠানে কেয়াম করা।
- জানাযার নামাযের পর আবার হাত উঠিয়ে দুআ করা।
- জানাযা নামাযের পর জোর আওয়াজে কালিমা পড়তে পড়তে জানাযা বহন করে নিয়ে যাওয়া।
- দাফনের পর কবরের কাছে আযান দেয়া।
- ঈদের নামাযের পর মুসাহাফা ও মআ‘না বা কোনাকুলি করা।
- আযারেন পর হাত দুআ করা।
- আযান ইকাতের মধ্যে রসূল (সঃ) –এর নাম এলে বৃদ্ধা আঈুলে চুমু দিয়ে চোখে লাগানো।
- রমযানের শেষ জুমুআর খতবায় বিদায় জ্ঞাপন মূলক শব্দ (যেমন আল-বিদা) যোগ করা।জুমুআতুল বিদা বলে কোন ধারণা ইসলামের নেই।
- আমীন বলে মুনাজাত শেষ করা নিয়ম, অনেকে কালিমায়ে তাইয়্যবা বলতে বলতে মুখে হাত বুলান এবং মুনাজাত শেষ করেন –এটা কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়, এটা বিদআত।
- জানাযার উপর কালিমা ইত্যাদি লেখা বা ফুলের চাদর বিছানো।
বিদা’আত এমন গোনাহ্ যা থেকে মানুষ তওবা করে না। কারণ বেদআত গোনাহ্ করে আওয়াবের আশায়। সুতরাং এখানে তাওবা করার সম্ভাবনা কম। এ কারণে বেদাআত এক ভয়ঙ্কর গোনাহ্।
অন্য গুনাহ করলে মানুষ তওবা করে থাকে। যেমন মদ পান করলে অথবা সুদ ঘুষ খেলে সে গোনাহ্ মনে করেই করে। আল্লাহ তাকে হেদায়েত দান করলে, একদিন সে তওবা করবে। আল্লাহ আমাদের বিদআতী কাজকর্ম থেকে হেফাজত করুন।
- নাম : ইবাদতের নামে প্রচলিত কিছু বিদআত
- লেখক: মাসুদা সুলতানা রুমী
- প্রকাশনী: : কলরব প্রকাশন
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 111
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789843730022
- বান্ডিং : paperback
- শেষ প্রকাশ : 2019