মাওলানা শামছুদ্দীন কাসেমী রহ.

মাওলানা শামছুদ্দীন কাসেমী রহ.

মাওলানা শামছুদ্দীন কাসেমী রহ.

পরিচিতি:
বাংলার আকশে ইসলামী রাজনীতির অন্যতম দিকপাল, বাতিলের আতংক, আপোষহীন বিপ্লবী আলেমে দ্বীন, মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা শামছুদ্দীন কাসেমী রহ.। ১৯৯৬সালের ১৯ অক্টোবর তিনি ইন্তিকাল করেন। আল্লামা শামছুদ্দীন কাসেমী রহ, একজন প্রথিতযশা আলেমে দ্বীন, দুরদর্শী রাজনীতিবীদ ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী চেতনা লালন করতেন। এর কারণ হলো তার পুর্ব পূর্বপুরুষগণ ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আমরণ সংগ্রাম করে গিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি যে সকল উলামায়ে কেরামের নিকট শিক্ষাগ্রহণ করেন তারা প্রত্যেকেই ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন৷ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন রেখেছিলেন। তিনি শায়খুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদ হাসান দেওবন্দী রহ, শায়খুল ইসলাম সায়্যিদ হোসাইন আহমদ মাদানী রহ, ইমামে ইনকিলাব হযরত মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্দি রহ, শায়খুত তাফসীর আল্লামা আহমদ আলী রহ, হাফিজুল হাদীস আব্দুল্লাহ দরখাস্তী রহ, মুফাক্কিরে ইসলাম মুফতী মাহমুদ রহ, এবং আল্লামা গোলাম গাউস হাজারবী রহ, এর আদর্শ লালন করতেন। তাদের চিন্তাচেতনা ধারন করেই তিনি ইসলামী রাজনীতিতে দিকপালের ভুমিকা রাখেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ধর্মীয় রাজনীতিতে নিষেধাঞ্জা থাকার সময় তিনি বিভিন্ন ব্যানারে ইসলামী কর্মকান্ড পরিচালনায় অগ্রনী ভুমিকা রাখেন। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে একটি দল এবং কিছু সংখ্যক উলামায়ে কিরামের বিতর্কিত ভুমিকার কারনে পরবর্তীতে আলেম উলামাদের তৎপরতা, ধর্মীয় কার্যক্রম একপর্যায়ে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। সে সময়ে তিনি অত্যন্ত সাহসিকতা, বিচক্ষণতার সাথে আলেম উলামাদের সংঘবদ্ধ এবং ইসলামী তৎপরতা পরিচালনায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে বহু মাদরাসা বন্ধ হয়ে গেলে এগুলো পুনরায় খোলার পিছনে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। ধর্মীয় রাজনীতির ওপর নিষেদাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম কে সুসংঘটিত করে এর পতাকা তলে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধ করার মেহনত অব্যাহত রাখেন। যে সময় কোন কোন খানকা, মাদরাসা থেকে ‘সিয়াসত গান্দি চিজ হায়। আখবার বিনি যুলমত হায়’ বলে প্রচার করা হত, সে সময় মাওলানা কাসেমী রহ, বিচক্ষণতার সাথে ইসলামী রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যান। মাওলানা কাসেমী রহ, বহু সংস্কারকমুলক কাজ করেন। বিশেষ করে কওমী মাদরাসায় মাতৃভাষা বাংলা ও ইংরেজী পড়ানোর ব্যপারে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার প্রতিষ্ঠিত আরজাবাদ মাদরাসায় দশম শ্রেনী পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষা বাদ্যতামুলক করেন। একারণে আরজাবাদ মাদরাসাকে একশ্রেনীর সংকীর্ণমনা লোকেরা সেমী আলীয়া বলত। বেফাকুল মাদারিস প্রতিষ্ঠায় তিনি বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছিলেন। হযরত হাফিজ্জী হুজুর রহ, যাদের উৎসাহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছিলেন কাসেমী রহ, তাদের অন্যতম ছিলেন। তিনি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির গুরুত্বপুর্ণ সদস্য ছিলেন। ফেতনায়ে মওদুদীয়াতের বিরুদ্ধে তিনি সর্বদা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশ স্বধীন হবার পর কাদীয়ানী সম্প্রদায় বিরোধী আন্দোলনের রূপকার ছিলেন্। রাজনীতির ময়দানে তিনি বিচক্ষনতা ও দুরদর্শিতাপূর্ণ ভুমিকা রাখেন। সব মহলে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ছিল। বাতিল, অন্যায় অসত্যের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন আমৃত্য আপোষহীন। ইসলামী ঐক্যজোট প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে দুই সমন্বয়কারীর একজন তিনি ছিলেন। বহু মাদরাসা মকতব প্রতিস্ঠা করেন। সাহিত্য সংস্কৃতির ময়দানে বাতিলের মোকাবেলায় সাপ্তাহিক জমিয়ত এবং মাসিক পয়গামে হক প্রকাশ করেছিলেন। তিনি রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় ময়দানে বহুবীদ খেদমত আনজাম দেন। আজ জাতীর এ দুর্দিনে তার অভাব তীব্রভাবে অনুভুত হচ্ছে। রাজনৈতিক সংকটকালে তাকে স্মরণ হয় খুব বেশী। বর্তমানে ইসলামী আন্দোলনে দূরদর্শী নেতৃত্ব শুন্যতায় তার কথা সকলের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। যে মুহুর্তে ইসলাম, মুসলমানের বিরুদ্ধে চতুর্মূখী ষড়যন্ত্র চলছে সে সময়ে একজন বিচক্ষন, দুরদর্শি এবং সাহসী কাসেমীর প্রয়োজনের কথা সব মহল থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে। আল্রাহ তাকে জান্নাতের উচু মাকাম দান করুক।  ইন্তিকাল করেন। আল্লামা শামছুদ্দীন কাসেমী রহ, একজন প্রথিতযশা আলেমে দ্বীন, দুরদর্শী রাজনীতিবীদ ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী চেতনা লালন করতেন। এর কারণ হলো তার পুর্ব পূর্বপুরুষগণ ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আমরণ সংগ্রাম করে গিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি যে সকল উলামায়ে কেরামের নিকট শিক্ষাগ্রহণ করেন তারা প্রত্যেকেই ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন৷ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন রেখেছিলেন। তিনি শায়খুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদ হাসান দেওবন্দী রহ, শায়খুল ইসলাম সায়্যিদ হোসাইন আহমদ মাদানী রহ, ইমামে ইনকিলাব হযরত মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্দি রহ, শায়খুত তাফসীর আল্লামা আহমদ আলী রহ, হাফিজুল হাদীস আব্দুল্লাহ দরখাস্তী রহ, মুফাক্কিরে ইসলাম মুফতী মাহমুদ রহ, এবং আল্লামা গোলাম গাউস হাজারবী রহ, এর আদর্শ লালন করতেন। তাদের চিন্তাচেতনা ধারন করেই তিনি ইসলামী রাজনীতিতে দিকপালের ভুমিকা রাখেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ধর্মীয় রাজনীতিতে নিষেধাঞ্জা থাকার সময় তিনি বিভিন্ন ব্যানারে ইসলামী কর্মকান্ড পরিচালনায় অগ্রনী ভুমিকা রাখেন। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে একটি দল এবং কিছু সংখ্যক উলামায়ে কিরামের বিতর্কিত ভুমিকার কারনে পরবর্তীতে আলেম উলামাদের তৎপরতা, ধর্মীয় কার্যক্রম একপর্যায়ে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। সে সময়ে তিনি অত্যন্ত সাহসিকতা, বিচক্ষণতার সাথে আলেম উলামাদের সংঘবদ্ধ এবং ইসলামী তৎপরতা পরিচালনায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে বহু মাদরাসা বন্ধ হয়ে গেলে এগুলো পুনরায় খোলার পিছনে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। ধর্মীয় রাজনীতির ওপর নিষেদাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম কে সুসংঘটিত করে এর পতাকা তলে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধ করার মেহনত অব্যাহত রাখেন। যে সময় কোন কোন খানকা, মাদরাসা থেকে ‘সিয়াসত গান্দি চিজ হায়। আখবার বিনি যুলমত হায়’ বলে প্রচার করা হত, সে সময় মাওলানা কাসেমী রহ, বিচক্ষণতার সাথে ইসলামী রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যান। মাওলানা কাসেমী রহ, বহু সংস্কারকমুলক কাজ করেন। বিশেষ করে কওমী মাদরাসায় মাতৃভাষা বাংলা ও ইংরেজী পড়ানোর ব্যপারে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার প্রতিষ্ঠিত আরজাবাদ মাদরাসায় দশম শ্রেনী পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষা বাদ্যতামুলক করেন। একারণে আরজাবাদ মাদরাসাকে একশ্রেনীর সংকীর্ণমনা লোকেরা সেমী আলীয়া বলত। বেফাকুল মাদারিস প্রতিষ্ঠায় তিনি বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছিলেন। হযরত হাফিজ্জী হুজুর রহ, যাদের উৎসাহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছিলেন কাসেমী রহ, তাদের অন্যতম ছিলেন। তিনি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির গুরুত্বপুর্ণ সদস্য ছিলেন। ফেতনায়ে মওদুদীয়াতের বিরুদ্ধে তিনি সর্বদা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশ স্বধীন হবার পর কাদীয়ানী সম্প্রদায় বিরোধী আন্দোলনের রূপকার ছিলেন্। রাজনীতির ময়দানে তিনি বিচক্ষনতা ও দুরদর্শিতাপূর্ণ ভুমিকা রাখেন। সব মহলে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ছিল। বাতিল, অন্যায় অসত্যের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন আমৃত্য আপোষহীন। ইসলামী ঐক্যজোট প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে দুই সমন্বয়কারীর একজন তিনি ছিলেন। বহু মাদরাসা মকতব প্রতিস্ঠা করেন। সাহিত্য সংস্কৃতির ময়দানে বাতিলের মোকাবেলায় সাপ্তাহিক জমিয়ত এবং মাসিক পয়গামে হক প্রকাশ করেছিলেন। তিনি রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় ময়দানে বহুবীদ খেদমত আনজাম দেন। আজ জাতীর এ দুর্দিনে তার অভাব তীব্রভাবে অনুভুত হচ্ছে। রাজনৈতিক সংকটকালে তাকে স্মরণ হয় খুব বেশী। বর্তমানে ইসলামী আন্দোলনে দূরদর্শী নেতৃত্ব শুন্যতায় তার কথা সকলের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। যে মুহুর্তে ইসলাম, মুসলমানের বিরুদ্ধে চতুর্মূখী ষড়যন্ত্র চলছে সে সময়ে একজন বিচক্ষন, দুরদর্শি এবং সাহসী কাসেমীর প্রয়োজনের কথা সব মহল থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে। আল্রাহ তাকে জান্নাতের উচু মাকাম দান করুক।
অনুসন্ধান:

ক্যাটাগরি:

প্রকাশনী:

মোট 1 টি পণ্য

35% ছাড়

কাদিয়ানী ধর্মমত

কাদিয়ানী ধর্মমত

৳ 65 ৳ 100
মাওলানা শামছুদ্দীন কাসেমী রহ.

সঠিক মূল্য

সকল পণ্য তুলনামূলকভাবে বাজারের সমমূল্যে বা এর চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয় করা হয়

ডেলিভারী

বাংলাদেশের যে-কোন প্রান্তে ২-৫ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়

নিরাপদ পেমেন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নিরাপদ পেমেন্ট পদ্ধতি মাধ্যমে পেমেন্টের সুযোগ

২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার

সার্বক্ষণিক কেনাকাটার জন্য সার্বক্ষণিক সহায়তা
পণ্যটি সফলভাবে কার্টে যুক্ত হয়েছে     কার্ট দেখুন