মিজান বিন মোতাহার। স্বপ্নদীপ্ত একজন সম্ভাবনাময় তরুণের উদ্দীপ্ত প্রতিচ্ছবি। তার বুকভরা আশা, চোখভরা স্বপ্ন। তিনি আশা পোষণ করেন আল্লাহর রহমতের। স্বপ্ন দেখেন ইসলামি সমাজ বিনির্মাণের। তার হৃদয়-আত্মা যেমন পরিপাটি, কাজ-কর্মও তেমনি সৃজনশীল। তিনি চান তার তেজস্বী লিখনীর মাধ্যমে অসত্য ও অন্যায়ের ধ্বংসস্তুপে সত্য ও ন্যায়ের পতাকা উড়াতে, নাস্তিকতা ও ধর্মদ্রোহীতার অন্ধকারে ঈমান ও ইসলামের প্রদীপ জ্বালাতে, পাপীদের হৃদয় ও আত্মা পবিত্র করে আলোকিত মানুষ বানাতে, সব মানুষের হৃদয় ও মন এক সুতায় গেঁথে ভালোবাসার মালা সাজাতে। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব অঙ্গনেই রয়েছে তার সফল পদচারণা। কলম হাতে মহাসমারোহে যাত্রা শুরু করেছেন ২০০৫ সালে। তখন তিনি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। কিশোর বয়সেই বিভিন্ন পত্রিকায় তার লেখা অসংখ্য ছড়া-কবিতা-গল্প ছাপা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের তরুণ লেখকদের অন্যতম।
নন্দিত কথাসাহিত্যিক মিজান বিন মোতাহার ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন থানার মৌলভীরচর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মোল্লা বংশের ছেলে। ১৯৯৬ সালের ১৫ মার্চ সৌভাগ্যের প্রদীপ হয়ে মা-বাবার কোল আলোকিত করেন। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ মোতাহার হোসাইন। মাতা হাফেজা মুসাম্মৎ খাদিজাতুল কুবরা। তার বোন নেই। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ।
বিরল প্রতিভার অধিকারী মিজান বিন মোতাহার মাত্র ৯ বছর বয়সে পবিত্র কুরআন মাজীদের হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ২০১২ সালে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করে আলেম হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন। ২০১৪ সালে ইফতা (উচ্চতর ইসলামি আইন গবেষণা) শেষ করে ইলমে ফিকহের ওপর ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। কিন্তু জ্ঞানার্জনে উদগ্রীব নিরলস পথিক জ্ঞানের এই দীর্ঘ পথ পারি দিয়েও ক্লান্ত নন, বরং আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে চান। কওমি মাদরাসা, আলিয়া মাদরাসা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানের সকল পথ অতিক্রম করতে চান। সেই লক্ষ্যে তিনি এখনো অধ্যয়নরত আছেন। পাশাপাশি মাসিক ‘ইসলামের বার্তা’র সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
সময়ের সাহসী কলমসৈনিক মিজান বিন মোতাহার বিশ্ববাসীকে ইসলামি আদর্শে উজ্জীবিত করে সুখময় জীবনের পথ দেখানোর মহাপ্রত্যয় নিয়ে ২০১২ সালের অক্টোবরে ‘সুখের খোঁজে সিরিজ’ লেখা শুরু করেছেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে বেশক’টি চমৎকার বই পাঠক-পাঠিকাকে উপহার দিয়েছেন। ভালোবাসা, সুনাম, সুখ্যাতিও অনেক কুড়িয়েছেন। দুঃখ-ভারাক্রান্ত, বেদনাহত-বিষণœ এই পরিবেশে একটু সুখের ছোঁয়া পেতে কে না চায়! প্রাঞ্জল ভাষা ও সহজ সাবলীল সাহিত্যের নিপুণ ছোঁয়ায় রচিত ‘সুখের খোঁজে সিরিজ’ জীবনের কণ্টকাকীর্ণ সেই পথকে কুসুমাস্তীর্ণ করবে- এ কথা জোরগলায়ই বলা যায়। কেননা, তার গল্পের বাঁকে বাঁকে লেখার ছত্রে ছত্রে ইসলামি জীবন-সংস্কৃতি ও গুরুত্বপূর্ণ সমকালীন প্রেক্ষাপটের যে অকৃত্রিম উপস্থাপন হয়েছে; তা ইনশাআল্লাহ যেকোনো পাঠক-পাঠিকাকে বিমুগ্ধ করবে, কুরআন-হাদীসের আলো বিধৌত বিশুদ্ধ দ্বীনি জীবনযাপনে আগ্রহী করে তুলবে, জাতির ঘুমন্তপ্রায় ¯œায়ুতন্ত্রীগুলো জাগিয়ে তুলবে, ইসলামি তাহজিব তামাদ্দুন-এর বিকাশমান পত্রপল্লবগুলো সতেজ করে তুলবে; নতুনরূপে রসে সুশোভিত করে তুলবে ইবাদত, ইসলামি আচার-আচরণ, লেনদেন ও চরিত্র-শিষ্টাচার।
যুগের নির্ভীক কলমযোদ্ধা মিজান বিন মোতাহার খুবই সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তার ব্যবহার অমায়িক, চারিত্রিক মাধুর্য অপূর্ব। তার মধ্যে কোনো অহংকার নেই, গর্ব নেই, উদ্ধতভাব নেই; বরং একজন বিনয়ী, ন¤্র, ভদ্র, ও শান্ত ছেলে হিসেবে তিনি অনন্য দৃষ্টান্ত। তার শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে নিয়ে আজ অব্দি কোনো সহপাঠীর সঙ্গে মনোমালিন্য, কথাকাটাকাটি কিংবা ঝগড়া হয়নি। এমনকি পাড়া-প্রতিবেশী সমবয়সী খেলার সাথীদের সঙ্গেও কখনো দ্বন্দ্ব বাঁধেনি। সকলের সঙ্গেই তিনি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেন। হাসিমুখে কথা বলেন। তাই তিনি সবার কাছে সমানভাবে প্রিয়। অথচ এই সরলমনা মানুষটিই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হিসেবে যথেষ্ট কঠোর। কারো রক্তচক্ষু, নির্যাতন, নিপীড়নে ভীত নন তিনি। কোনো লোভ, প্রলোভন, লিপ্সা তাকে প্রভাবিত করতে পারে না। ইসলামি মূল্যবোধ, মানবতাবোধ, দেশাত্ববোধ ও আত্মমর্যাদার প্রশ্নে তিনি সুদৃঢ়-অবিচল। আমরা তার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি, আকাশছোঁয়া সুখ্যাতি এবং সুখময় দীর্ঘায়ু কামনা করি।
সুখের খোঁজে সিরিজের প্রকাশিত বইসমূহ:
(১) নাম : ‘সুখের খোঁজে’, ধরন : উপন্যাস, বিষয় : পর্দা নারীর নিরাপদ আশ্রয়। এক আধুনিক তরুণীর জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা অবলম্বনে পর্দার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
(২) নাম : ‘উল্টো পথে যাত্রী-১’, ধরন : গল্প, বিষয় : প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কিত হৃদয়গ্রাহী, মর্মস্পর্শী ও চরিত্র গঠনমূলক সত্য ঘটনার এক অনবদ্য গ্রন্থ। আধুনিক তরুণ-তরুণীদের অবৈধ প্রেম-ভালোবাসার অসারতা ও কুফল প্রমাণ করা হয়েছে।
(৩) নাম : ‘নারী আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টি-১’, ধরন : গল্প-নিবন্ধ, বিষয় : নারী নির্যাতনের বিপক্ষে এবং নারী অধিকার আদায়ের স্বপক্ষে লিখিত বাস্তব প্রমাণভিত্তিক এক অনবদ্য গ্রন্থ।
(৪) নাম : ‘তোমাকে ভালোবাসি হে প্রভু’, ধরন : উপন্যাস, বিষয় : মহাপরাক্রমশালী ও পরম করুণাময় আল্লাহপাকের সঙ্গে সুগভীর প্রণয় ও নিরবচ্ছিন্ন ভালোবাসার সুসম্পর্ক স্থাপনের মহা প্রত্যয় নিয়ে লেখা গবেষণামূলক গ্রন্থ।
(৫) নাম : ‘তোমাকে ভালোবাসি হে রাসূল’, ধরন : উপন্যাস, বিষয় : মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সুগভীর প্রণয় ও নিরবচ্ছিন্ন ভালোবাসার সুসম্পর্ক স্থাপনের মহা প্রত্যয় নিয়ে লেখা গবেষণামূলক গ্রন্থ।
(৬) নাম : ‘নারী আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টি-২’, ধরন : গল্প-নিবন্ধ, বিষয় : নারী নির্যাতনের বিপক্ষে এবং নারী অধিকার আদায়ের স্বপক্ষে লিখিত বাস্তব প্রমাণভিত্তিক এক অনবদ্য গ্রন্থ।
(৭) নাম : ‘উল্টো পথে যাত্রী-২’, ধরন : গল্প, বিষয় : প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কিত হৃদয়গ্রাহী, মর্মস্পর্শী ও চরিত্র গঠনমূলক সত্য ঘটনার এক অনবদ্য গ্রন্থ। আধুনিক তরুণ-তরুণীদের অবৈধ প্রেম-ভালোবাসার অসারতা ও কুফল প্রমাণ করা হয়েছে।
(৮) নাম : ‘শান্তির নীড়’, ধরন : উপন্যাস, বিষয় : সুখময় জীবন ও মধুময় দাম্পত্য লাভের কলাকৌশল।
(৯) নাম : ‘নেক সন্তান’, ধরন : গল্প, বিষয় : পিতামাতার মর্যাদা, সন্তানের দায়িত্ব।
(১০) নাম : ‘মার্জিত জীবন’, ধরন : উপন্যাস, বিষয় : পাপ-পঙ্কিলতা ছেড়ে মার্জিত জীবন গঠনের দিকনির্দেশনামূলক শিক্ষণীয় সত্য ঘটনা।
(১১) নাম : ‘উল্টো পথে যাত্রী-৩’, ধরন : গল্প, বিষয় : প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কিত হৃদয়গ্রাহী, মর্মস্পর্শী ও চরিত্র গঠনমূলক সত্য ঘটনার এক অনবদ্য গ্রন্থ। আধুনিক তরুণ-তরুণীদের অবৈধ প্রেম-ভালোবাসার অসারতা ও কুফল প্রমাণ করা হয়েছে।
(১২) নাম : ‘নারী আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টি-৩’, ধরন : গল্প-নিবন্ধ, বিষয় : নারী নির্যাতনের বিপক্ষে এবং নারী অধিকার আদায়ের স্বপক্ষে লিখিত বাস্তব প্রমাণভিত্তিক এক অনবদ্য গ্রন্থ।