
দুর্গেশনন্দিনী
আধুনিক রোমান্স-উপন্যাস হচ্ছে মহাকাব্যের আধুনিক রূপান্তর। মূলত মানুষ বর্তমানকালে প্রাচীন মহাকাব্যের জায়গায় যা উপহার দেয় তা হচ্ছে আধুনিক-রোমান্স-উপন্যাস বা রমন্যাস। রামায়ণে সীতার সতীত্বের জন্য অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছিল। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘দুর্গেশনন্দিনী’তেও সতীত্বের প্রশ্নটি এসছে। জগৎসিংহ তিলোত্তমার সতীত্বেও সন্দেহ করেই তাকে হৃদয় থেকে বিসর্জন দিয়েছে। তিলোত্তমার সতীত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য বঙ্কিমচন্দ্র কতলু খাঁকে দিয়ে সতীত্বের সাক্ষ্য প্রদান করেছে। ওসমান মহাকাব্যের বীর চরিত্রের মতোই ফুটে উঠেছে। জগৎসিংহকেও বীরোচিত গুণ দেয়া হয়েছে। আয়েষাকে পাবার জন্য জগৎসিংহ ও ওসমানের দ্বন্দ্বযুদ্ধ মহাকাব্যের কথাই মনে করিয়ে দেয়। পরিশেষে জগৎসিংহ ও তিলোত্তমার বিয়ে এবং আয়েষার সে বিয়েতে উপস্থিত হয়ে বহুমূল্যবান অলঙ্কার দান মহাকাব্য, রূপকথা ও মধ্যযুগীয় রোমান্সের আনন্দ এনে দিয়েছে। জগৎসিংহকে না পেয়ে আয়েষার ভেতর ট্রাজেডি আসা ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু তা আসেনি। গরলাধার অঙ্গুরীয়ের রস পান করে একবার সে মরতে চেয়েছে, মরেনি, বরং অঙ্গুরীয় দুর্গ-পরিখার জলে নিক্ষেপ করেছে। এতে মেলোড্রামার সুর ধ্বনিত হয়েছে। উপন্যাস শুরু হয়েছিল মোগল-পাঠানের সংঘাত দিয়ে, শেষ হয়েছে তাদের মধ্যে সন্ধি দিয়ে। ফলে এক অনাবিল শান্তি এনে দিয়েছে।’
- নাম : দুর্গেশনন্দিনী
- লেখক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
- প্রকাশনী: : অবসর প্রকাশনা সংস্থা
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : 204
- ভাষা : bangla
- ISBN : 9789848798393
- বান্ডিং : hard cover
- শেষ প্রকাশ : 2023