আবদুল্লাহ আল ফারুক
লেখক। অনুবাদক। মুহাদ্দিস। সম্পাদক।
পিতা : মাওলানা দেলাওয়ার হুসাইন সাইফী
মাতা : মুসাম্মাৎ রেদওয়ানুল জান্নাত
জন্ম : ২২ নভেম্বর ১৯৮৩ ঈ.। খিলগাঁও, ঢাকা।
শিক্ষা : দাওরায়ে হাদীস, আরবি সাহিত্য ও ইফতা. দারুল উলূম দেওবন্দ, ভারত পেশা : লেখালেখি ও শিক্ষকতা ।
লেখালেখি : লেখেন কবিতা, অনুবাদ ও কলাম। বই, স্মারক, দেয়ালিকা ও সাময়িকী সম্পাদনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মুহাদ্দিস হিসেবে জামেয়া মাদানিয়া বারিধারা ও দারুল উলূম রামপুরায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে বাসাবোস্থ মাদরাসাতুল হুদায় আরবি ভাষা ও ফিকাহ শাস্ত্রের শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনেই লেখালেখির সূচনা। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার স্মারকে। কিশোরস্বপ্ন, রহমত সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, মাসিক পত্রিকা ও স্মরণিকায় প্রবন্ধ, কবিতা ও অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও নিউজ পোর্টালে শতাধিক প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আরবি ও উরদূ থেকে অনুবাদ করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তার অনূদিত শিশুতোষ বইগুলোও বেশ জনপ্রিয়। সাইয়্যেদ মানাযির আহসান গিলানী, সাইয়্যেদ সুলাইমান নদভী, শায়খ হিফযুর রহমান সিওহারভী, মাওলানা ইদরিস কান্ধলভী, মুহাদ্দিস আবদুর রশীদ নু‘মানী, শাইখুল হাদীস যাকারিয়া কান্ধলভী, সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী, মুফতী তাকী উসমানী, শায়খ যুলফিকার নকশবন্দীসহ বরেণ্যদের বেশ কিছু বইয়ের সার্থক অনুবাদ করেছেন। আরবী থেকে অনূদিত বইয়ের সম্ভারও বেশ ঋদ্ধ। ইমাম গাযালী রহ. আয়েয আল কারনী, আবদুত তাওয়াব ইউসুফ, সামাহ কামেল, সামীর হালবী, আহমদ তাম্মাম, সালামাহ মুহাম্মদ-সহ আরববিশ্বের বেশ ক’জন খ্যাতিমান লেখকের বইও অনুবাদ করেছেন। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। ইসলামের রাজনৈতিক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ, স্মৃতির দর্পণে দারুল উলূম দেওবন্দ, দেশ-দেশান্তর [১]; কাসাসুল কুরআন [৫, ৬, ৭]; খুতুবাতে যুলফিকার [৭, ৮, ৯, ১০, ২১, ২২, ২৩ ও ৩০]; আধুনিক লেনদেনের ইসলামী বিধান [১]; প্রেমের সফর; পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র ও ইসলাম; ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ ও তার প্রতিকার; নারী তুমি ভাগ্যবতী; আল আসমাউল হুসনা; মাজালিসে যাকারিয়া; গল্প শুনি হাদিস শিখি; সীরাতের ছায়াতলে; অনিবার্য মৃত্যুর ডাক; সনাতন হিন্দুধর্ম ও ইসলাম তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। আকাবিরের জীবন ও কর্মের ওপর কয়েকটি জীবনী ও স্মারকগ্রন্থ অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন। মহান আল্লাহ তাঁর জীবন, জ্ঞান ও কর্মে বরকত দিন।